আজ ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জ্বালানি তেলের সাথে লংগদুতে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম; কষ্টে স্বল্প আয়ের মানুষ

সাকিব আলম মামুন
লংগদু, (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার বাজার গুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। চাল, ডাল থেকে আটা, ময়দা, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, মুরগি, চিনি, ডিম, শাক-সবজি, মাছ-মাংস সবকিছুর দামই বাড়তি।

নিত্যপণ্যের এই বাড়তি দামে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। এতে করে তারা কোনো ভাবেই হিসাব মিলাতে পারছে না।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সামগ্রিকভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বহুলাংশে বেড়ে গেছে। পরিবহনের পাশাপাশি পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। নিত্যপণ্যের দাম বহুগুন বেড়ে গেছে। এতে লংগদুসহ সারা দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) উপজেলার লংগদু বাজার, মাইনী বাজার ও বাইট্টাপাড়া বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি চালে ৪/৫ টাকা বেড়েছে। মাঝে আটা, ময়দার দাম কিছুটা কমলেও এ দুটি পণ্যের দামও গত দুই দিনে কেজিতে ৩/৪ টাকা বেড়েছে। বেড়েছে ভোজ্য তেল সয়াবিন ও পাম অয়েলের দামও। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ৮৮০ থেকে ৯১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে ৫ টাকা বেড়ে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত কয়েক দিনে দাম বেড়েছে এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা ও রসুন। প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। আমদানিকৃত শুকনো মরিচ কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে ৪৩০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। আদার দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে দেশি আদা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ও আমদানিকৃত আদা ৯০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। তবে বাজার গুলোতে মানভেদে প্রতি কেজি দেশি রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাথে দাম বেড়েছে চিনিরও। প্রতি কেজি চিনিতে ২/৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়।

তবে গত দুই দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। এক লাফে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। আর পাকিস্তানী কক বা সোনালি মুরগী কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকগণ মনে করেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দেবে। কারণ, তেলের দাম বাড়ায় পরিবহনের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। সার্বিকভাবে মূলস্ফীতি ২/৩ শতাংশ বাড়বে। আর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে। তাদের ওপর আঘাতটা আসবে সবচেয়ে বেশি।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...